Translate

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩

শেষ চিঠি ...

চলে যাব, যুগান্তের বনবাস শেষে  , এই মিলন ক্ষনিকের , জানি।


তবু মাটির গন্ধ, ঘাসেদের নরম সবুজ গান বড় মায়ায় বেঁধে

নিতে চায়। এ পথ আমার নয় , সময়ের স্রোত অনেক অনেক আগে

নিপুণ নির্ম্মমতায় কুরে নিয়ে গেছে আমার মাধবীতলা। এখন 

হু হু বাতাসে দোল খায় আশ্র্য়হীন শিকড় , আর অপেক্ষা করে

শেষ ভাঙনের। তবু তো অবুঝ কুড়ি পাখা মেলে...  বিষণ্ণ বাতাসে

একে যেতে চায়, ভালোবাসা রঙ...  একান্ত প্রহরে।

কিছু চাইবার নেই আর। আনিবার্য খরবেগে বয়ে চলবার আগে

যদি, ফেলে আসা বালুচরে একটি রক্তসন্ধ্যা গায়ে মেখে

পাশাপাশি কিছু চলছাপে লিখে যাওয়া যেত না হওয়া কবিতা 

তবে বড় অনায়াসে পাড়ি জমাতাম অগস্ত্য যাত্রায়!

মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৩

না মেলা অঙ্কের কথা ...




তুই হাত ছোঁয়াতেই, উত্তাল লাভা স্রোত,
হৃদয় তখন, হাজার বছরের শীতঘুম ভেঙে ওঠা
মাতাল ভল্‌ক্যানো!
এতো আগুন ছিল, বুঝিনি আগে!
আমার সবুজ বনানী,
খড়-কুটো দিয়ে বাঁধা ছোট নীড় খানি...
সব বুঝি এই চুরমার!

তোর জন্য গত শতাব্দীতে
কান্না মেখে, আগুনের পথে, হেঁটে গেছি
জন্মভোর। অন্ধরাতে একা!

আজ এখনও তোর ডাকে
পাড়ি দিতে পারি
কালাহারি উষর প্রান্তর,
নরম শ্যামল ছায়া ফেলে!


আশ্চর্য গণিত শেষে
পড়ে আছে এক মায়াডোর!
ক্ষীণবল তবুও অমোঘ
প্রত্যয়ে স্তব্ধ করে রাখে
যাবতীয় অগ্নুদ্‌গার!
তাই এখনও সুবাতাস বয়ে চলে
অঙ্গনে আমার!

... বুঝি বড় দেরী হয়ে গেছে।
যোগ – বিয়োগের অংকে
বেভুলে, ফুটে ওঠা জ্বালা পোড়া দাগ,
হাসি আর গানে ঢেকে রাখি।

হিসেবের খাতার পেছনে
রয়ে যায় কিশোর বেলার
এলোমেলো কিছু চলছাপ!