... ...
ইচ্ছে হয়
কুয়াশালগ্ন ভোরে হেঁটে যাই
কোপাইয়ের পাড়ে..
পূর্ণিমা মাখামাখি সোনাঝুরি বনে
নেমে আসা স্বর্গের ঘ্রাণে ভরে নিই বুকের পাঁজর...
নিরালা দুপুরে পুর্বপল্লির পথে পথে
ঝরা পাতাদের শব্দ, শুন্যপ্রায় গেরস্থ বাগানে
পাখিদের গান, আনমনা স্রোতে বয়ে যাওয়া
কদাচিৎ সাইকেল...
এই সব দৃশ্য শব্দ গন্ধে ডুবে যেতে...
সাধ জাগে ভরন্ত ক্ষেতের আলে
চুপচাপ শুয়ে মাখি কার্তিকের হিম...
নিভন্ত বিকেলের ডাকে পড়ে থাকা রেলপথ বেয়ে চলে যাই দূর, দুরান্তরে,
অন্ধকার ঘন হলে অজানা প্রান্তর-ঝোপ-ঝাড়ে কখন জ্বলে ওঠে অর্বুদ জোনাক-প্রদীপ
স্মৃতি ভরে এঁকে নিই...
এই সব ইচ্ছারাশি অলীক স্বপ্নবৎ
ডুবে থাকে হৃদয় কন্দরে একদিন
শতদল মেলে ফুটে ঊঠবার প্রত্যাশায়!
কিন্তু জানি,
এই সব স্বপ্নসন্ততিদের আলোর মুখ দেখে আকাশের নীল মাখা হবেনা কোনও দিন।
সুসভ্য হিংস্রতার মধ্যে নিয়ত বসবাস লব্ধ অভিজ্ঞতা হিম কণ্ঠে বলে গেছে মজ্জার গভীরে,
রাত্রির আরণ্য-আঁধারে, ভোরের কুয়াশায়, বিজন সন্ধ্যার প্রান্তরে, কিংবা প্রকাশ্য দুপুরে শতশত চলমান মৃতদের ভিড়ে, ফুটপাথে...
যে কোন স্থানে ও মুহুর্তে শাণিত শ্বদন্তে আর লোলুপ নখরে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারি।
পরিপার্শ্ব তখন মূক ও বধির এবং অন্ধ-ও...
তাই সব ইচ্ছেদের জলের গহীনে আজীবন সন্তর্পনে ঘুমঘোরে রেখে যেতে হয়!
বেপরোয়া নিশিডাক যেন না পৌছায় কানে...!
অপচয়ে অপচয়ে মেয়েবেলা ক্ষয়ে যায়
গতিহীন মৃতকল্প নদীটির মত!
সমস্ত পথ জুড়ে
কাঁটাতার বিছিয়েছে নির্মম ভয়
ওই পারে যেতে নেই
গন্ডির এপারে স্বপ্নডুবি দিঘির কিনারে থেমে যেতে হয়... (কৃষ্টিশ্রী)