স্রোত-ও কখনো-সখনো দৈনন্দিন ইন্ধন বয়ে আনে..
নদীর নির্জন চরে ক্লান্ত চিতা জলে ভেসে গেলে
কোন এক নামহীন কুলে সেই সব যাপিত প্রাণের
দহনের সহচর অর্ধদগ্ধ কিছু কাঠে... ভাঙ্গা কুঁড়েঘরে
দিনশেষে চমৎকার ভাতের আঘ্রাণ...
উদোম শিশুকে ঘরমুখো করে।
এভাবেই স্রোত
কখনো কখনো সেতু বাঁধে ... এক মুঠো
অস্থি অবশেষ জুড়ে যায় পরিত্রৃপ্ত গ্রাসে...
যে জীবন হারিয়েছে বাসা, তাই যেন ফ্যানের সুবাসে
থিতু হয়... আধো অন্ধকারে নামহীন ঝুপড়ির
আনাচে কানাচে...
ভালোবাসা বেপরোয়া ঝাঁপ দেয়, মৃত্যু নদীর খরশান ফাঁদ
এড়িয়ে ... বারবার ... অনায়াস ফিরে ফিরে আসে...
ধুলোপায়ে, গলির গোলোক ধাঁধা ভেঙে চেনা চৌহদ্দির মাঝে,
নুনে-ভাতে, ক্লান্ত রাতে ... প্রিয় নারীর ওম মেখে...
নিল নিঃসাড় হিমে জীবনের ইন্ধন জ্বালে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন